ইউরোপে জব

ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শেখ হাসিনার রায় রাজনীতিতে নতুন মোড়

সম্পাদকীয় :শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:৪১:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫০৪৩ বার পড়া হয়েছে

সম্পাদকীয়: শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড — বিচারের পথ, নাকি রাজনৈতিক মোড় ?

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় দেশজুড়ে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আদালত বলেছে, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত সহিংসতার জন্য এ রায় প্রয়োজনীয় বিচার প্রতিষ্ঠা করে।

তবে রায় ঘোষণার পরই হাসিনা একে “রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” ও “বৈষম্যমূলক” বলে দাবি করেছেন। এই প্রতিক্রিয়া প্রশ্ন তোলে বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও আদালতের স্বাধীনতা নিয়ে—যা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূলভিত্তি।

একদিকে ভুক্তভোগী পরিবার ও আন্দোলনকারীদের অংশের মধ্যে ন্যায়বিচারের অনুভূতি তৈরি হলেও, অন্যদিকে এই রায় রাজনৈতিক মেরুকরণ আরও বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। রায়ের পর নিরাপত্তা জোরদার হওয়া সেই উদ্বেগকেই তুলে ধরে।

বাংলাদেশের জন্য এখন সবচেয়ে জরুরি হলো—এই রায় যেন প্রতিশোধের রাজনীতির পথে না গিয়ে স্বচ্ছতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার সুযোগ তৈরি করে। বিচার অবশ্যই হতে হবে; কিন্তু সেই বিচারকে Question-free নৈতিক উচ্চতায় দাঁড় করানোই রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

শেখ হাসিনার রায় রাজনীতিতে নতুন মোড়

সম্পাদকীয় :শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় ০৪:৪১:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয়: শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড — বিচারের পথ, নাকি রাজনৈতিক মোড় ?

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় দেশজুড়ে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আদালত বলেছে, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত সহিংসতার জন্য এ রায় প্রয়োজনীয় বিচার প্রতিষ্ঠা করে।

তবে রায় ঘোষণার পরই হাসিনা একে “রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” ও “বৈষম্যমূলক” বলে দাবি করেছেন। এই প্রতিক্রিয়া প্রশ্ন তোলে বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও আদালতের স্বাধীনতা নিয়ে—যা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূলভিত্তি।

একদিকে ভুক্তভোগী পরিবার ও আন্দোলনকারীদের অংশের মধ্যে ন্যায়বিচারের অনুভূতি তৈরি হলেও, অন্যদিকে এই রায় রাজনৈতিক মেরুকরণ আরও বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। রায়ের পর নিরাপত্তা জোরদার হওয়া সেই উদ্বেগকেই তুলে ধরে।

বাংলাদেশের জন্য এখন সবচেয়ে জরুরি হলো—এই রায় যেন প্রতিশোধের রাজনীতির পথে না গিয়ে স্বচ্ছতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার সুযোগ তৈরি করে। বিচার অবশ্যই হতে হবে; কিন্তু সেই বিচারকে Question-free নৈতিক উচ্চতায় দাঁড় করানোই রাষ্ট্রের দায়িত্ব।