ইউরোপে জব

ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মাওলানা ভাসানী কিছু কথা

মাওলানা ভাসানীর ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:১৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
  • ৫০৩২ বার পড়া হয়েছে

উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, ত‍্যাগ, সততা, লির্লোভ নেতৃত্বের বাতিঘর, ইতিহাসের মহানায়ক, মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী

তিনি সারা বিশ্বের কোটি কোটি ভক্ত, রাজনৈতিক অনুসারী, মুরিদানদের কাঁদিয়ে ১৯৭৬ সালের ১৬ নভেম্বর এই দিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে দাফন করা হয়।

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী অধিকারবঞ্চিত, অবহেলিত ও মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় আজীবন নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। জাতীয় সংকটে জনগণের পাশে থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেন।

মাওলানা ভাসানী সবসময় ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন। ক্ষমতার কাছে থাকলেও ক্ষমতার মোহ তাঁকে কখনো আবিষ্ট করেনি। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন নির্মোহ, অনাড়ম্বর ও অত্যন্ত সাদাসিধে। তাঁর সাধারণ জীবনযাপন এ দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রতিফলন। শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য মাওলানা ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মাওলানা ভাসানীর জন্ম। তিনি তাঁর কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি এবং আসাম বিধানসভার নেতা ছিলেন। তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতিও ছিলেন।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে মাওলানা ভাসানী রাজনীতিকে কখনো ক্ষমতা বা ব্যক্তিগত সুবিধা অর্জনের উপায় হিসেবে দেখেননি; বরং মানুষের অধিকার, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে রাজনীতির মূল ভিত্তি হিসেবে ধরে নিবেদিত দেশপ্রেমিক আমৃত্যু লড়াই সংগ্রাম করেছিলেন বিধায় তাঁকে “মজলুম জননেতা” বলা হয়। আজ যখন দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি নানা সংকটে জর্জরিত, তখন ভাসানীর আদর্শই সমাজ ও রাষ্ট্রকে সঠিক পথে ফেরানোর পথ দেখায়।

মাওলানা ভাসানীর পুরো রাজনৈতিক জীবনই ছিলো নিপীড়িত মানুষের পক্ষের সংগ্রাম। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে শুরু করে আমৃত্যু যে সময়েই অন্যায় হয়েছে, যে শাসকগোষ্ঠী জনগণকে বঞ্চিত করেছে, মাওলানা ভাসানী সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বায়ত্তশাসনের দাবি, বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়, কৃষকের ন্যায্য মূল্য, শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি, জনগণের হক আদায়, তিনি ছিলেন সোচ্চার। তাঁর ত্যাগের উদাহরণও বিরল; ক্ষমতার মোহ থেকে দূরে থাকা, সামান্য জীবনযাপনের মাধ্যমে রাজনীতিতে সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা এবং সর্বোপরি জনগণের পাশে থাকা এসব ছিল তাঁর চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য। তিনি চেয়েছিলেন ইনসাফের ভিত্তিতে নৈতিক, মানবিক ও কল্যাণ রাষ্ট্র।

জাতির দুর্ভাগ্য ভাসানীর আদর্শের কথা বলে আমরা মুনাফেকি করছি!! আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনেক সময় কাগজে-কলমেই থাকে; জনগণকে বলা হয় এক কথা, বাস্তবে ঘটে ভিন্ন কিছু। জনগণের আবেগ-অনুভূতিকে ব্যবহার করে ক্ষমতা অর্জনের প্রতিযোগিতা বহুক্ষেত্রেই রাজনীতিকে জনকল্যাণের বদলে স্বার্থকেন্দ্রিকতায় পরিণত করেছে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, অনিয়ম, দলীয়করণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বার্থপরতা, স্বজনপ্রীতি, মিথ্যাচার, উচ্ছৃঙ্খলতা রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।

এমন বাস্তবতায় জনগণের মধ্যে হতাশা বাড়ছে, রাজনীতির প্রতি আস্থা কমছে। বিশেষ করে দেশের তরুণ প্রজন্মও মনে করছে, রাজনীতি হয়তো মানুষের কল্যাণে ব্যবহৃত হচ্ছে না; বরং কিছু ব্যক্তির সুবিধা অর্জনের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ রাজনীতি হওয়ার কথা ছিলো শ্রেষ্ঠ এবাদত, জনগণের আমানত রক্ষা করা, জনগণের সেবা, জনগণের স্বপ্ন পূরণের প্ল্যাটফর্ম। যে রাজনীতি মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে না, সেই রাজনীতি দীর্ঘস্থায়ী হয় না—এ সত্য আজ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বাস্তবতা তার প্রমাণ। যে শাসক জনগণের কল্যাণ ভুলে যায়, যে ক্ষমতা জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়, তার পরিণতি কখনোই শুভ হয় না। যা ভবিষ্যতের রাজনীতির জন্য বড় সতর্কবার্তা। জনগণকে শত্রু ভেবে রাজনীতি করা যায় না; জনগণকে অগ্রাহ্য করে ক্ষমতায় থাকা যায় না। আজকে যেকোনো ব‍্যক্তি বা রাজনৈতিক দলেরই উচিত এই পরিণতি থেকে শিক্ষা নিয়ে ন‍্যায় ও সত্যের পথে চলা।

এই মুহূর্তে জনগণের প্রত্যাশা বাংলাদেশের রাজনীতির অস্হিরতার থেকে নতুন একটি দিগন্ত উন্মোচনের প্রয়োজন। সেই দিগন্তের ভিত্তি হতে পারে মাওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক দর্শন, আদর্শ, ত্যাগ, সততা।

রাষ্ট্রের মূল শক্তি হলো জনগণ, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য সব দলের ও সকল শ্রেণী পেশার সৎ সাহসী, নির্ভীক, নির্মোহ দেশপ্রেমিকদের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য জরুরি।

হে মহান স্রষ্টা হে দয়াময় মজলুম জননেতা মাওলানা মরহুম আবদুল হামিদ খান ভাসানী কে জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করুন, আমিন।

মাওলানা ভাসানী কিছু কথা

মাওলানা ভাসানীর ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী

আপডেট সময় ০৯:১৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, ত‍্যাগ, সততা, লির্লোভ নেতৃত্বের বাতিঘর, ইতিহাসের মহানায়ক, মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী

তিনি সারা বিশ্বের কোটি কোটি ভক্ত, রাজনৈতিক অনুসারী, মুরিদানদের কাঁদিয়ে ১৯৭৬ সালের ১৬ নভেম্বর এই দিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে দাফন করা হয়।

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী অধিকারবঞ্চিত, অবহেলিত ও মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় আজীবন নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। জাতীয় সংকটে জনগণের পাশে থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেন।

মাওলানা ভাসানী সবসময় ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন। ক্ষমতার কাছে থাকলেও ক্ষমতার মোহ তাঁকে কখনো আবিষ্ট করেনি। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন নির্মোহ, অনাড়ম্বর ও অত্যন্ত সাদাসিধে। তাঁর সাধারণ জীবনযাপন এ দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রতিফলন। শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য মাওলানা ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মাওলানা ভাসানীর জন্ম। তিনি তাঁর কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি এবং আসাম বিধানসভার নেতা ছিলেন। তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতিও ছিলেন।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে মাওলানা ভাসানী রাজনীতিকে কখনো ক্ষমতা বা ব্যক্তিগত সুবিধা অর্জনের উপায় হিসেবে দেখেননি; বরং মানুষের অধিকার, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে রাজনীতির মূল ভিত্তি হিসেবে ধরে নিবেদিত দেশপ্রেমিক আমৃত্যু লড়াই সংগ্রাম করেছিলেন বিধায় তাঁকে “মজলুম জননেতা” বলা হয়। আজ যখন দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি নানা সংকটে জর্জরিত, তখন ভাসানীর আদর্শই সমাজ ও রাষ্ট্রকে সঠিক পথে ফেরানোর পথ দেখায়।

মাওলানা ভাসানীর পুরো রাজনৈতিক জীবনই ছিলো নিপীড়িত মানুষের পক্ষের সংগ্রাম। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে শুরু করে আমৃত্যু যে সময়েই অন্যায় হয়েছে, যে শাসকগোষ্ঠী জনগণকে বঞ্চিত করেছে, মাওলানা ভাসানী সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বায়ত্তশাসনের দাবি, বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়, কৃষকের ন্যায্য মূল্য, শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি, জনগণের হক আদায়, তিনি ছিলেন সোচ্চার। তাঁর ত্যাগের উদাহরণও বিরল; ক্ষমতার মোহ থেকে দূরে থাকা, সামান্য জীবনযাপনের মাধ্যমে রাজনীতিতে সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা এবং সর্বোপরি জনগণের পাশে থাকা এসব ছিল তাঁর চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য। তিনি চেয়েছিলেন ইনসাফের ভিত্তিতে নৈতিক, মানবিক ও কল্যাণ রাষ্ট্র।

জাতির দুর্ভাগ্য ভাসানীর আদর্শের কথা বলে আমরা মুনাফেকি করছি!! আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনেক সময় কাগজে-কলমেই থাকে; জনগণকে বলা হয় এক কথা, বাস্তবে ঘটে ভিন্ন কিছু। জনগণের আবেগ-অনুভূতিকে ব্যবহার করে ক্ষমতা অর্জনের প্রতিযোগিতা বহুক্ষেত্রেই রাজনীতিকে জনকল্যাণের বদলে স্বার্থকেন্দ্রিকতায় পরিণত করেছে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, অনিয়ম, দলীয়করণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বার্থপরতা, স্বজনপ্রীতি, মিথ্যাচার, উচ্ছৃঙ্খলতা রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।

এমন বাস্তবতায় জনগণের মধ্যে হতাশা বাড়ছে, রাজনীতির প্রতি আস্থা কমছে। বিশেষ করে দেশের তরুণ প্রজন্মও মনে করছে, রাজনীতি হয়তো মানুষের কল্যাণে ব্যবহৃত হচ্ছে না; বরং কিছু ব্যক্তির সুবিধা অর্জনের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ রাজনীতি হওয়ার কথা ছিলো শ্রেষ্ঠ এবাদত, জনগণের আমানত রক্ষা করা, জনগণের সেবা, জনগণের স্বপ্ন পূরণের প্ল্যাটফর্ম। যে রাজনীতি মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে না, সেই রাজনীতি দীর্ঘস্থায়ী হয় না—এ সত্য আজ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বাস্তবতা তার প্রমাণ। যে শাসক জনগণের কল্যাণ ভুলে যায়, যে ক্ষমতা জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়, তার পরিণতি কখনোই শুভ হয় না। যা ভবিষ্যতের রাজনীতির জন্য বড় সতর্কবার্তা। জনগণকে শত্রু ভেবে রাজনীতি করা যায় না; জনগণকে অগ্রাহ্য করে ক্ষমতায় থাকা যায় না। আজকে যেকোনো ব‍্যক্তি বা রাজনৈতিক দলেরই উচিত এই পরিণতি থেকে শিক্ষা নিয়ে ন‍্যায় ও সত্যের পথে চলা।

এই মুহূর্তে জনগণের প্রত্যাশা বাংলাদেশের রাজনীতির অস্হিরতার থেকে নতুন একটি দিগন্ত উন্মোচনের প্রয়োজন। সেই দিগন্তের ভিত্তি হতে পারে মাওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক দর্শন, আদর্শ, ত্যাগ, সততা।

রাষ্ট্রের মূল শক্তি হলো জনগণ, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য সব দলের ও সকল শ্রেণী পেশার সৎ সাহসী, নির্ভীক, নির্মোহ দেশপ্রেমিকদের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য জরুরি।

হে মহান স্রষ্টা হে দয়াময় মজলুম জননেতা মাওলানা মরহুম আবদুল হামিদ খান ভাসানী কে জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করুন, আমিন।