বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী ফুলতলী বলেন, অনেক মানুষ সময়ের স্রোতে নিজেকে ভাসিয়ে দেয়, সত্য থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়। আমাদেরকে এমন স্রোতে গা ভাসিয়ে দিলে চলবে না। আমাদের সর্বদা দ্বীনের উপর টিকে থাকতে হবে। ইকামতে দ্বীনের জন্য প্রথমে নিজের মধ্যে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দুনিয়ার কোনো চাকচিক্য আমাদের কাম্য নয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো নবী করীম সা.-এর আদর্শ প্রতিষ্ঠা। আল্লামা ইকবাল বলেছেন, পাশ্চাত্যের কোনো চাকচিক্য আমাকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি। কারণ আমার মনের লাগাম ধরে আছেন মুহাম্মাদে আরাবী সা.। আমাদেরও মনের লাগাম প্রিয়নবী সা.-এর হাতে ন্যস্ত করতে পারলে কোনো বিভ্রান্তি আমাদের স্পর্শ করতে পারবে না।
তিনি বলেন, তালামীযে ইসলামিয়া দুনিয়ার মোহে কাজ করে না। এক্ষেত্রে আমাদের আদর্শ আমাদের পূর্বসূরী হযরত শাহজালাল রহ. সহ আউলিয়ায়ে কিরাম। তালামীযে ইসলামিয়া শাহজালাল রহ.-এর আদর্শের কর্মী। রাজনীতির আবরণে কেউ যদি ইসলামের নামে বদ আকীদা ও রাসূলের শানে বেয়াদবি ছড়ায়, তাহলে তালামীযে ইসলামিয়ার কর্মীরা তা রুখে দিবে ইনশাআল্লাহ। তবে বাতিলের জবাবে আমরা নিজেদের সংযত রাখবো। কারো জবাব দিতে গিয়ে কটু বাক্য প্রয়োগ করবো না। আমরা সর্বক্ষেত্রে বিনয়ী হবো। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন, যে আল্লাহর জন্য বিনয়ী হয়, আল্লাহ তার মর্যাদাকে উচ্চ করে দেন।
১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ঈসায়ী, শনিবার, সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া সিলেট পূর্ব জেলা আয়োজিত ‘জেলা সম্মেলনে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ দারুন্নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আ.খ.ম. আবু বকর সিদ্দীক।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমি ফুলতলী দরবার ও মাসলাককে ভালোবাসি। তালামীযে ইসলামিয়ার কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ’র সকল কর্ম ও আদর্শ হৃদয় দিয়ে লালন করতে হবে। আমাদের কর্মতৎপরতা ও কর্মপদ্ধতি আরো বেগবান করতে হবে। পাঁচ বছর মেয়াদী একটি প্ল্যান নিয়ে আমাদের অগ্রসর হওয়া দরকার। এই পাঁচ বছরে কতজন দায়ী, মুহাদ্দিস, মুফাসসির, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তৈরি করা যাবে সেই প্ল্যান। দেশ ও সমাজের খেদমতের জায়গাগুলোতে আমাদের সরব উপস্থিতি থাকতে হবে। পরাশক্তির চাকচিক্য ও আধিক্য দেখে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। মানুষের প্রকৃত শক্তি তার সংখ্যাধিক্যে নয় বরং তার সঠিক বা হক আদর্শে। আমি বা আপনি ব্যক্তি হিসেবে ছোট হতে পারি, কিন্তু আমরা যার দেখানো পথে চলি তিনি (আল্লামা ফুলতলী রহ.) আল্লাহর কাছে মকবুল একজন বান্দা। সেজন্য আমাদের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। যোগ্যতা ও ভদ্রতার কোনো বিকল্প নেই। স্লোগান আমাদের উৎসাহিত করে কিন্তু টিকে থাকার মূল শক্তি হলো যোগ্যতা। সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল স্তরে নিজ নিজ যোগ্যতার মাধ্যমে আমাদের স্থান করে নিতে হবে।
সিলেট পূর্ব জেলা সভাপতি হোসাইন আহমদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু ছায়িদ মুহাম্মদ আশিক এর সঞ্চালনায় সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ কবি কালাম আজাদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনযুর-উল-হায়দার, হযরত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মো. কুতবুল আলম, বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মোহাম্মদ নজমুল হুদা খাঁন, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র অফিস সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আতাউর রহমান, সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নজির আহমদ হেলাল, মাওলানা মুফতি বেলাল আহমদ, মাওলানা মো. ফখরুল ইসলাম, মাওলানা রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী ফুলতলী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান ফরহাদ, কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি কবির আহমদ, সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ হোসেন, কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদ, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ উসমান গণি, সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কাওছার আহমদ, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক কুতুব আল ফরহাদ, কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য রেজাউল করিম।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সিলেট মহানগর সভাপতি হুসাইন আহমদ, সিলেট পশ্চিম জেলা সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক সাজু, সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি আবু হেনা মো. ইয়াছিন, হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি ফয়েজ আহমদ নোমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া সভাপতি কাজী আহবাব দস্তগীর, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি জোন সিলেট সভাপতি আব্দুল আহাদ আকবর, সিলেট পূর্ব জেলার সাবেক সভাপতি হাফিজ সাদ উদ্দিন, সৌদিআরব জেদ্দা আল ইসলাহ’র সাবেক সভাপতি জিবাল আহমদ।
সিলেট পূর্ব জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আমিনুল এহসান জাবির এর স্বাগত বক্তব্যে সূচিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিলেট মহানগর সহ-সভাপতি আরিফ হোসাইন সামাদ, সিলেট পূর্ব জেলা সহ-সভাপতি আহমদ আল মনজুর, মুহাম্মদ জায়দুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা সহ সভাপতি ফয়জুল ইসলাম, সিলেট পূর্ব জেলার সাবেক সহ-সভাপতি লাবিবুর রহমান লাভলু, সিলেট পশ্চিম জেলা সাধারণ সম্পাদক ফয়ছল ইসলাম, হবিগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী আবরার দস্তগীর, সিলেট পূর্ব জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান আল মামুন, আব্দুর রহমান, সিলেট মহানগরীর সহ সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, সিলেট পূর্ব জেলা সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, রেদওয়ান হোসেন, আবু তায়্যিব মো. রুবেল, প্রচার সম্পাদক ইমাম হোসেন পাবেল, সহ-প্রচার সম্পাদক জামিল আহমদ, আলিম উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক নাজমুস সাকিব সায়েম, অফিস সম্পাদক জুবেল আহমদ, সহ-অফিস সম্পাদক শরিফ উদ্দিন, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান, রুহুল আমিন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহবুব আহমদ, সহ-শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছাব্বির আহমদ, সদস্য জায়েদ খান, তাহমিদুর রহমান আবির, আব্দুল আহাদ, জসিম উদ্দিন, কানাইঘাট উপজেলা সভাপতি তানভীর আহমদ, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি আব্দুল মুতালিব, জকিগঞ্জ উপজেলা সভাপতি আবু হানিফ মো. নায়িম, বিয়ানীবাজার উপজেলা সভাপতি জফরুল আলম, গোয়াইনঘাট উপজেলা সভাপতি ইমাম উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ উত্তর উপজেলা সভাপতি তানভীর আহমদ, গোলাপগঞ্জ দক্ষিণ উপজেলা সভাপতি সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, গোলাপগঞ্জ পৌর সভাপতি জাকির আহমদ, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজ সভাপতি মফিজ উদ্দিন প্রমূখ।
নিজস্ব সংবাদ : 









