ইংল্যান্ড প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের ডাকা আগামী ১৩ নভেম্বরের লকডাউনের কর্মসূচি ঘিরে সামাজিকমাধ্যমে নানা আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে।
বিভিন্ন সূত্র বলছে বহির বিশ্বে আওয়ামী লীগের নেতাদের শেখ হাসিনা নির্দেশ প্রদান করেছেন যে কোন মূল্যে ১৩ নভেম্বরের আন্দোলনকে সফল করার জন্য। ব্রিটেনে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ইতিমধ্যে ভিডিওবার্তার মাধ্যমে ১৩ নভেম্বরের লকডাউন কে সর্বাত্মক সফল করার জন্য নেতা কর্মীদের এবং দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্তবর্তী কালীন সরকারের প্রশাসন এ ব্যাপারে মাঠে তৎপর রয়েছে।
আগামী ১৩ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা নিয়ে সংশয় নেই বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর এম এইচ তামিম।
রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে যা–ই হোক, ১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনার মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই। এছাড়াও ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণা করা হবে না। ওইদিন কবে রায় ঘোষণা করা হবে সেই দিন ঠিক করা হবে।
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েকজন আসামির বিরুদ্ধে রায় কবে ঘোষণা করা হবে তা ঠিক করার জন্য আগামী ১৩ নভেম্বর দিন ঠিক করে রেখেছেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে আজ জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১২ নভেম্বর।
ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বিচারিক প্যানেলে চলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ। আজ সাক্ষ্য দেন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহাসহ ৩ জন।
এর আগে, ২ নভেম্বর ১৩তম দিনে সিআইডির দুই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, পুলিশ পরিদর্শক রোকনুজ্জামান এবং উপপরিদর্শক শাহেদ জোবায়ের লরেন্স সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্যতে তারা মামলায় উদ্ধার করা আলামতের যাচাই-বাছাইয়ের বর্ণনা তুলে ধরেন। পরে তাদের জেরা করেন পলাতক ৪ আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ও গ্রেপ্তারদের আইনজীবীরা।
এখন পর্যন্ত এ মামলায় মোট ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সকালে মামলার আট আসামির গ্রেপ্তার ৪ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এদিকে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকাবাসীই এই নাশকতা রুখে দেবে। অতীতে যেসব স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে, সেসব দলের নাশকতা ঢাকাবাসীই মোকাবেলা করেছে। এবারও ঢাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও অন্যান্য সংস্থা সম্মিলিতভাবে এটাকে রুখে দেবে। ভয়ের কোনো কারণ নেই।’
নিজস্ব সংবাদ : 










